পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১২

ইনোসেন্স অব মুসলিমস- ভায়োলেন্স এবং মিথ্যাচার ছড়ানোর এক হীন প্রচেষ্টা



‘ইনোসেন্স অব মুসলিমস’ নামের ওটা কোন চলচিত্র হতে পারেনা, ওটা একটা অপ-ডকুমেন্টারী বলা যেতে পারে। যা স্পষ্টতই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই ধারনা। আমাদের ইসলাম ধর্মের পয়গম্বর হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে হেয় করে বিদ্বেষ এবং সন্ত্রাস ছড়ানোই যে ঐ অপ-ডকুমেন্টারিটির উদ্দেশ্য সেটা স্পষ্ট হলো ওটার ১৪ মিনিটের ইউটিউব টেলর দেখার মত দুর্ভাগ্য হবার পর।

বৃহস্পতিবার, ১৭ মে, ২০১২

ল্যান্ডলাইন টেলিফোনের ভবিষ্যত


গুগলে ‘Will landline phone die soon?’  অথবা ‘Future of Landline Telephone’  লিখে সার্চ দিলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ প্রচুর তথ্যবহুল প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।

বিষয়টি যে বর্তমান পুরো বিশ্বের আইসিটির একটি ক্ষুদ্র কিন্তু মুখ্য বিষয় তা ঐ সকল প্রতিবেদনের সুনির্দিষ্ট আলোচনা হতে স্পষ্ট প্রতিয়মান হয়। নির্ভরতা, নিরাপত্তা এবং পরিচিতির ক্ষেত্রে এখনও ল্যান্ডলাইন টেলিফোন কারও কারও ভাবনায় এগিয়ে থাকলেও ল্যান্ডলাইন সংক্রান্ত ব্যবসার প্রসার ঘটছেনা কারন ল্যান্ডলাইন সংযোগ পুরো বিশ্বেই ধারাবাহিকভাবে কমে যা”েছ। খুব সংগতভাবেই টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির চরম অগ্রগতি, ভোক্তা বা গ্রাহকের পছন্দের পরিবর্তন এবং বাজারের চাপ এর পেছনের কারন। এটাই বাস্তবতা।

রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

বাবার লেখা একটি ছন্দ কবিতা

এই দেশে
শেখ আব্দুল আজিজ

শাপলা শালুক কলমি ভাসে
এই দেশেরই ঝিলে।
ঝিনুক শামুক মৎস থাকে
এই দেশেরই বিলে।
দোয়েল কোয়েল পাপিয়া গায়
এই দেশেরই কুঞ্জে;

আমার বাবার একটি কবিতা স্মরন করি আজ বাবার ৫ম মৃত্যুবার্ষিকীতে

সময়টা ২০০৭ সাল। আজকের দিন-১২ই ফেব্রুয়ারী তখন আমি কক্সবাজার সাবমেরিন ক্যাবল ল‌্যান্ডিং স্টেশনের দুই দুটি পদে দায়িত্ব পালন করছিলাম। খবু প্রভাতেই মুঠোফোনের তরঙ্গে খবর এল বাবা ভীষণ অসুস্থ । হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আমাকে দ্রুত ঢাকায় আসার জন্য জানানো হলো। আমি অস্থিরতার দিকে ধাবমান। অফিসে জানালাম। ছুটি দিতে নারাজ আমার উর্ধ্বতন অফিসার। আরও উপরের এককর্তা ব্যক্তিকে ঢাকায় জানালাম। গ্রীন সিগন্যাল পেতেই তড়িঘড়ি করে ব্যস্ত হলাম ঢাকায় ফেরার...ফোনে খোঁজ নিচ্ছি মাঝে মাঝে বাবার অবস্থার। ভাল ঠেকছেনা। ঠিক বুঝতে পারছিনা। ঢাকাগামী ডাইরেক্ট বাস সব আরও আগেই চলে গেছে। জিএমজি এয়ারলাইনস এর টিকেট পেলাম। এক ঘন্টার কম সময়েই আকাশ পথে ঢাকায় নামলাম যখন তখন দুপুর ২/৩টার মত বাজে। ...এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি চলে গেলাম সোহরাওয়ার্দি হাসপাতাল। ...দেখেই বোঝা গেলো সেটা বাবার মৃত্যুশয্যার মত। নিশ্চুপ নিথর...কেবল আত্মাটা সচল তখনো। একবার চোখ মেলে দেখেছিলেন আমাকে। ঐ একবারই । তারপর রাত ৮টার দিকে আমার হাতের উপর ঢলে পড়লেন , মারা গেলেন আমার বাবা মাত্র ৫৯ বছর বয়সে।

শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১২

মামুন ম. আজিজের ৩য় গল্প সংকলন -‘উদ্ঘুট্টি’



মামুন ম. আজিজের ৩য় গল্প সংকলন -‘উদ্ঘুট্টি’

মানব মনের ইচ্ছে ঘুড়ির মুক্ত বিচরণ অসীম কল্পনায়। তবে মন যা চয় সব হয়না। যেভাবে দেখতে চায় চারপাশ সেভাবে ঘটেনা অধিকাংশই। মনের ভাবনা আর বাস্তব দৃশ্য - উভয়েই এলোমেলো ধারনার উদাহরণে ভরপুর। আর আমাদের এই দেশের সমাজ জীবনে টানাপোড়ন তো নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। এক সাধারণ লেখকদৃষ্টি আমার সেই সব টানাপোড়ন আর এলোমেলো দৃশ্যগুলোই দেখতে দেখতে নিজের মত করে খাপছাড়া কিছু ভাবনার বিসদৃশ্য মালা গেঁথে চলে মনে। আমার তৃতীয় গল্প সংকলন ‘উদ্ঘুট্টি’ সেইসব ভাবনার একটি কাগুজে প্রকাশ।

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১২

চাকা

চাকা
মামুন ম. আজিজ

কখনও শব্দটা ‘ভো, ভো’ আবার একটু পড়েই ‘কু ঝিক ঝিক, ঝিক ঝিক...; কিংবা ‘প্যা, পু, পু... পি.’ । একটার পর আরেকটা, অবিরত। 

প্রতিটা শব্দের সাথে গোল গোল চাকার ঘুর্ণন। চোখের মণির যাতনা পীড়িত ছিদ্রটিও গোলাকার। গোলাকার দৃষ্টিতে গোলাকার চাকাগুলো খাপে যেন খাপ খাওয়া তলোয়ার।

শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১২

অবশেষে দোঁহে




মামুন ম . আজিজ

এক॥
এ হলো সমতল ঢল। আগে মাঝে মাঝে নামতো। আজকাল তো অহরহ।
পাহাড়ি ঢল নামে,পানির তোড়ে ভেসে যায় পাহাড়ি মাটি সাথে মাটির উপরের কতকিছু। পানি উপর থেকে নিচে নামতেই পারে,তরল আর গতির ধর্মই  ওমন। অথচ সমতল এই ঢলের কোন ধর্ম নেই। এ পানির ঢল না। এ সভ্যতার বিস্ফোরন। এ ঢলে মাটি ভাসে না,তবে এই শহরের কোটি

শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১২

‘সংকাশ’-একটি লেখক সংগঠন যার প্রথম প্রয়াস-‘নৈঃশব্দ্যের শব্দযাত্রা’



  
বয়সের তফাৎ আছে, তফাৎ আছে পেশায়-কাজে। পরিবেশ আর পারিপার্শ্বিকতাও নানারূপ। অথচ সবাই একসাথে মিলেছে। সকলেই মননশীল। কেউ কবিতা লেখেন, কেউ গল্প, কেউ আবার দুটোই। সাহিত্য চর্চার শুদ্ধ বাসনা সকলকে একসূত্রে বেঁধেছে। সেই বাঁধনের মিলিত সুর সংকাশসংকাশ-একদল লেখক-কবির সংগঠন। সংকাশ এর শ্লোগান-সংকোচহীন শব্দযাত্রা

নিঃশব্দে সংকাশের সাহিত্যিক বন্ধুদল লিখে চলে সমাজ, প্রকৃতি, বাস্তবতা আর কল্পনার কথা।


বুধবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১২

প্রজন্মের দায়ভার-মুক্তিযোদ্ধা বাবর আলীকে পৌঁছে দিল হুইল চেয়ার

প্রজন্মের দায়ভার প্রদানকৃত হুইল চেয়ারে বসে আছেন মুক্তিযোদ্ধা বাবর আলী। 

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি দায়ভার নিয়ে গড়ে ওঠা একটি সেবামূলক সংগঠন `প্রজন্মের দায়ভার’। ২০১১ সালের শেষের দিকে বেশ কয়েকজন নবীন লেখক এবং সমমনা ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে এই সেবামূলক সংগঠনটি।