পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

‘বসন্ত’-বাংলার কবি এবং কবিতা


বসন্ত নিয়ে কিছু কথা বলার প্রারম্ভে স্বভাবতই লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বসন্তকে বিশেষায়িত করার অতি অভিলাষ ‌‌‌'ঋতুরাজ' জুড়ে দেয়া হয়, তারপর বন্দনা কীর্তন এগিয়ে যায়, এখানে আমার কিঞ্চিৎ আপত্তি, আমি বসন্তকে ঋতুরাজ বলতে রাজী নই। যুগ থেকে শাতব্দী পেরিয়ে পেছনের ইতিহাসে আমরা যত রাজাদের দেখি, শুনি, পড়ি তারা ফাগুনের রক্ত রাঙা সবুজ পত্র কাননের মাঝে ঝিরি ঝিরি বসন্ত বাতাসের হিমেল পরশের মত মাধুরীময় রূপে আমাদের কাছে ধরা পড়ে না, রাজা স্বভাবতই কাঠিন্যেরা আবরণ বরন করেন, তা না হলে রাজত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন, প্রজার কাছে কেবল দয়ালু সাধু হলেই হয় না রাজাকে হতে হয় কঠোর, সত্য নিষ্টার পরাকাষ্টা, একটু উল্টো ভাবলে সেতো আরও কঠিন, আমি উল্টো ভাবনায় নিষ্ঠুর অত্যাচারী রাজাগণের কথাই বলছি, সেও ইতিহাসে ভরপুর। প্রিয় মিষ্টি মধুর পাখির কলকাকলী উচ্চকিত বসন্ত কেনো পুরুষ হবে, কেনো রাজা হবে, সেতো রানী হতে পারে, সৌন্দর্যের নিগুঢ় আলোড়ন হতে পারে, আমি তাই বসন্তকে বলব 'ঋতু শ্রেষ্ঠ'।

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

যেদিন বাবা চলে গেলেন

তখন আমার সরকারী চাকুরীর প্রথম পোষ্টিং। অবস্থান হলো কক্সবাজার; সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং ষ্টেশন (বর্তমানে বিএসসিসিএল)। সময়টা ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। প্রায়  এক বছর ধরে কক্সবাজারে আছি। এক নিঃসঙ্গ জীবন অথচ স্বেচ্ছায় বেছে নেয়া; অনেকটা অনুভূতির তাড়নায়। একাকী অবসরের কিছুটা কাটত চৌদ্দ ইঞ্চি টিভি দেখে, সন্ধ্যায় জিম কসরত করে  আর বাকীটা  সামহয়্যারইন.নেট এ ব্লগীং করে। যদিও ইন্টারনেটের জন্য  ল্যান্ড ফোনের ডায়ালাপের ধীর গতির উপরেই ছিল কেবল নির্ভরশীলতা। তবুও রোজ ধৈর্য্য ধরে পোষ্ট আপলোড করে ব্লগীং করেই চলেছিলাম। এখনও সামহয়্যারে আমার সেই সব পোষ্টগুলোর অধিকাংশই রয়েছে (আইডিটির নাম পথিক!!!!!!!)। রোজকার দিনপঞ্জি নিয়ে কোন ব্লগীং করলে তার ট্যাগে লিখে দিতাম ‘নির্বাসনের দিনকাল’। সেই নির্বাসনের দিনকালে ঝিলংজার নিদারুণ নির্জনতার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে রওয়ানা হয়েছিলাম এক রাতে আর অন্য সকল যাত্রার মতই। বাস ঢাকা ছেড়েছিল ১০ই ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে। ঢাকা পেরিয়ে কুমিল্লা যাবার আগেই হয়তো দিন পেরিয়ে ১১ই ফেব্রুয়ারিতে পড়েছিল। দীর্ঘ জার্নি। ঘুম আমার ভালোই হতো। মাঝে মাঝে ভাঙতোও। বাসা থেকে গভীর রাতেই এক ঘুম ভাঙানি  মোবাইল কলে জানালো আমাকে-আব্বু খুব অসুস্থ। ঠিক কি বলেছিলাম সে সব শব্দ আজ স্মৃতিতে নেই। তবে হাসপাতালে সকালে নেয়া হবে এতটুকু মনে আছে। সকালে ডরমেটরিতে ফ্রেস হয়ে অফিসেও চলে গেলাম। অফিসটা শ খানেক গজ দূরে পুকুরের অপারেই। মন উতলা হচ্ছিল, আব্বুকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে সে খোঁজ পেলাম। ল্যাপটপ খুলে বসে বসে উচাটন মনে সামহয়্যারইন.নেট এ ঢুকে দু ছত্র লিখে ফেললাম উৎকণ্ঠার প্যাচাল-

শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

প্রাণের বইমেলা, সাহিত্য ও প্রকাশনা-আমি এবং আমার অতীত বর্তমান

//মামুন ম. আজিজ
তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবেই এই মুহূর্তে বাংলাদেশকে বহিঃবিশ্ব এবং আপন পরিধির ভেতরেও চিহ্ণিত করা হয়, অর্থাৎ আমাদের দেশটির পেছনে হয়তো কোন কোন দেশ আছে তবে সামনেও আছে ভরি ভরি দেশ। এ কথাটুকু আমার এই লেখার জন্য খুব প্রয়োজনীয় না হলেও এ কথাই শুরুতে না বলে পারলাম না এই কারণে যে আমাদের সামনে যারা মানে যেসকল দেশ রয়েছে, যারা জ্ঞান বিজ্ঞান, উন্নয়ন এবং বৈভবে আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে তারাও এই আধুনিক উচ্চ প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বেও কাগজে ছাপা অক্ষরে লেখা এবং অতপর বাঁধাই করা যে জ্ঞান, ইতিহাস, তথ্য এবং কলা ও সংস্কৃতির ধারণ, বাহন, সংরক্ষন এবং পাঠের উপযোগী একটি চর্চা রয়েছে যাকে এক কথায় প্রকাশনা শিল্প বলা যায় তা বিন্দু মাত্রও বিস্মৃত হয়নি এবং তার যথাযথ প্রকাশ, রক্ষণ এবং পাঠের পূর্ব ধারাবাহিকতাকে এই ডিজিটাল যুগেও এগিয়ে নিয়ে চলেছে। তারা উন্নত জাতি। আমাদের পাশের দেশ ভারতেও এই পুস্তক প্রকাশ এবং তা পাঠের রীতি এখনও মানুষ বিস্তৃত হয়নি। অথচ আমাদের দেশে এই পুস্তক প্রকাশ এবং পাঠ দুটোই রূপ বদলেছে এবং বদলানোটা খুব একটা ইতিবাচক যে নয় মোটেও তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না, ও সবাই জানে।

রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

‘বাঙালির প্রাণের মেলা’... একটি টক শো অনুষ্ঠান পর্যালোচনা এবং কিছু কথা

হঠাৎ টেলিভিশনে রাজনীতি বিষয়ক উত্তপ্ত কথার উষ্ণ প্রস্রবণ বিহীন একটি টক শো চোখে পড়তেই দেখার সাধ হলো। সাধ না হয়ে উপায় নেই, সাহিত্যের সাথে কিঞ্চিৎ যোগসূত্র থাকায় এমন একটি অনুষ্ঠান আমাকে টানবে সেটাই খুবই সংগত। সংগত কর্মটিই হলো। আমি দেখতে বসলাম সময় টিভির গত শনিবার রাতের সম্পাদকীয় অনুষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানটির আলোচনার বিষয় ‘বাঙালির প্রাণের মালা’। গত সন্ধ্যায় সেই  প্রাণের মেলা, অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৪ উদ্বোধন হয়েছে বাংলা একাডেমী চত্বর এবং সংযুক্ত সোহয়ারাওয়ার্দী উদ্যানের কিছু অংশ জুড়ে । অনুষ্ঠানের আলোচনায় অতিথি আমাদের সাহিত্য জগতে খুবই পরিচিত, সমসাময়িক তিন দিকপাল। ১।শামসুজ্জামান খান (মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমি), ২।ইমদাদুল হক মিলন, (লেখক ও কথাসাহিত্যিক), ৩।ওসমান গনি  (সভাপতি, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি)